ঘামের চিকিৎসায় অ্যান্টিপারসপিরেন্ট (Antiperspirant)

অ্যান্টিপারসপিরেন্টকে (Antiperspirant) হাত, পা, আন্ডারআর্ম (বগল) এবং কখনো কখনো মুখের অতিরিক্ত ঘামের প্রথম ধাপের চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অ্যান্টিপারসপিরেন্টকে প্রথম ধাপের চিকিৎসা বলার কারণ হলো এগুলি অল্পমাত্রায় ইনভেসিভ (least invasive) এবং বিশেষজ্ঞরা পূর্ণমাত্রার অন্যান্য ইনভেসিভ (more invasive) চিকিৎসা গ্রহণ করার আগে এটি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
অ্যান্টিপারসপিরেন্ট (Antiperspirant) হলো এক ধরনের কেমিক্যাল এজেন্ট যা ঘাম কমাতে সাহায্য করে। সাধারণত ধাতব লবণ অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড এবং অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরোহাইড্রেট হল রোল – অন, স্প্রে এবং পাউডার ফর্মুলেশন এর অ্যান্টিপারসপিরেন্টের এর সক্রিয় উপাদান। এগুলো সাধারণত বিভিন্ন তীব্রতার/মাত্রার উপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়। অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে অধিক মাত্রার বা তীব্রতার সলিউশন ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের সলিউশন গুলো ত্বকের উপরের অংশে ব্যবহার করা হয়। একবার ত্বকে অ্যান্টিপার্সপিরেন্ট প্রয়োগ করা হলে, আন্ডারআর্মের ঘাম অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট কণাগুলিকে ধরে ফেলে এবং দ্রবীভূত করে, এগুলিকে ছিদ্রগুলিতে টেনে নিয়ে যায় এবং ত্বকের পৃষ্ঠের ঠিক নীচে থাকা সুপারফিসিয়াল প্লাগ তৈরি করে। যখন শরীর বুঝতে পারে যে ঘামের নালীটি প্লাগ করা হয়েছে তখন ফিডব্যাক স্বরূপ ঘামের প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। প্লাগগুলি কমপক্ষে ২৪ ঘন্টার জন্য ঘামের নালীর জায়গায় থাকতে পারে এবং তারপরে সময়ের সাথে সাথে ধুয়ে যায়।
অ্যান্টিপারসপিরেন্টগুলো বাজারে ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) ড্রাগ হিসেবে পাওয়া যায়। এমনকি ডাক্তাররা তাদের রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপশন করে থাকে। বাজারের ওভার-টি-কাউন্টার (OTC) অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট গুলো বিভিন্ন মাত্রার হয় এবং সেগুলো ক্লিনিক্যাল স্ট্রেংথ পণ্যগুলোর মতো ভালো ঘামের সুরক্ষা দেয়। ক্লিনিক্যাল স্ট্রেংথ অ্যান্টিপারসপিরেন্টগুলো অন্যান্য ওভার-দ্য-কাউন্টার অ্যান্টিপারসপিরেন্টগুলোর তুলনায় বেশি পরিমাণ ঘাম হ্রাস করতে সক্ষম এবং সেইসাথে ত্বকের জ্বালা পোড়াও কম হয়।
অ্যান্টিপারসপিরেন্টে (Antiperspirant) সর্বাধিক ব্যবহৃত সক্রিয় উপাদান হলো ধাতব লবণ। ক্লিনিক্যাল স্ট্রেংথ অ্যান্টিপারসপিরেন্টগুলোতে সাধারণত ২৫% বেশি সক্রিয় উপাদান থাকে, নিয়মিত ব্যবহৃত ওভার-দ্য-কাউন্টার অ্যান্টিপারসপিরেন্টের তুলনায়।
প্রেসক্রিপশন এবং বিশেষায়িত অ্যান্টিপারস্পাইরেন্টগুলিতে প্রায়ই সক্রিয় উপাদান হিসাবে অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট থাকে। এগুলি সবচেয়ে কার্যকর অ্যান্টিপার্সপিরেন্টগুলির মধ্যে রয়েছে তবে নির্দেশাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ না করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া হতে পারে। সাধারণত, ১০% থেকে ১৫% অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট ঘনত্বের অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট আন্ডারআর্মের অত্যধিক ঘামের জন্য সুপারিশ করা হয়।
সাধারণত হাত ও পায়ের অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণের জন্য ৩০% অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট ঘনত্বের অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ব্যবহার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত ঘাম মোকাবেলায় অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট এর সাথে অন্য একটি সিস্টেম্যাটিক পদ্ধতি গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করার পর অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট এর ফলাফল পাওয়া যায়।
বেশিরভাগ সময়, ডাক্তাররা আয়ন্টোফোরেসিস বা এন্টিকোলিনাজির্কস (অতিরিক্ত ঘামের জন্য একটি মৌখিক পদ্ধতিগত থেরাপিও) অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট এর সাথে নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ-
আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis): হাত-পায়ের অতিরিক্ত ঘাম সমস্যার কার্যকর সমাধান
১৯৪০ সাল থেকে হাত এবং পায়ের অতিরিক্ত ঘামের চিকিৎসায় আয়ন্টোফোরেসিস পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আরো বিস্তারিত….
হোম আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) থেরাপি সেবা
বাসায় বসে আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) থেরাপি সেবা গ্রহণ করে, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে হাত ও পায়ের অতিরিক্ত ঘামকে স্বাভাবিক করুন।
আরো বিস্তারিত….
সোয়েট-গার্ড: আধুনিক আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) ডিভাইস
বাসায় বসে আয়ন্টোফোরেসিস ডিভাইস Sweat- Guard ব্যবহার করে ১৫ দিনের মধ্যে হাত ও পায়ের অতিরিক্ত ঘামের মত বিব্রতকর এবং অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা প্রশমিত করুন।
 
				

