Sweat Solution

ঘাম নিয়ন্ত্রণে মুখে খাবার ওষুধ

Oral Medication for hyperhidrosis

একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, সুনির্দিষ্ট কিছু ধরনের হাইপারহাইড্রোসিসের (অতিরিক্ত ঘাম সমস্যায়) চিকিৎসায় মুখে খাবার ওষুধ প্রেসক্রিপশন করা হয়। অতিরিক্ত ঘাম (sweating) কমাতে ওষুধগুলো বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে। ওষুধগুলো গ্রন্থিগুলোর উদ্দীপনা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং এটা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সামগ্রিক ঘাম হ্রাস করে।

শরীরের যেই অংশে লোকাল থেরাপিগুলো হয় কার্যকর হয়নি বা চিকিৎসা করা কঠিন (ক্র্যানিওফেসিয়াল ঘাম) সেই সমস্ত হাইপারহাইড্রোসিস রোগীদের জন্য মুখে খাবার ওষুধ সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক বা কার্যকর। যাদের সারা শরীর ঘামে বা সাধারণ হাইপারহাইড্রোসিস সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ওরাল থেরাপি বা মুখে খাবার ওষুধের সর্বোত্তম ব্যবহার করা হয়।

কম্পেন্সেটরি সোয়াটিং (Compensatory sweating) যা এন্ডোস্কোপিক থোরাসিক সিমপ্যাথেক্টমি বা ইটিএস সার্জারির পরে ঘটে তা এক ধরনের সাধারণ হাইপারহাইড্রোসিস (Generalized Hyperhidrosis) এবং এটি খুবই বিরক্তিকর হয়, তবে সেইক্ষেত্রে ওরাল থেরাপিকে উপযুক্ত চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ঘামের জন্য মুখে খাবার ওষুধ -অ্যান্টিকোলিনার্জিকস (Anticholinergics):

অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত ওষুধগুলোর মধ্যে অ্যান্টিকোলিনার্জিকস অন্যতম। ট্রেড ব্র্যান্ড Glycopyrolate® বা Robinul® হল সর্বাধিক নির্ধারিত অ্যান্টিকোলিনার্জিক যা অতিরিক্ত ঘামের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি ঘাম গ্রন্থিগুলোতে অ্যাসিটিকোলিন রিসেপ্টরকে ব্লক করে, ঘামের উৎপাদন হ্রাস করার মাধ্যমে কাজ করে।

দুর্ভাগ্যবশত, স্ব-পরিচালিত স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে (control of the autonomic nervous system) বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে অ্যাসিটাইলকোলিন রিসেপ্টর রয়েছে এবং সেই জন্য এধরনের মুখে খাওয়ার ওষুধে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা হয়। ঘামের উপর এটির প্রভাব এবং পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলোর উৎপত্তি সাধারণত ওষুধের ডোজের ওপর নির্ভর করে।

ঘাম কমানোর জন্য বেশি মাত্রায় গ্রহণ করা হলে অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যেমন- মুখ শুকিয়ে যাওয়া, প্রসাব চেপে রাখা, কোষ্ঠকাঠিন্য,চোখের শুষ্কতা, ঝাপসা দৃষ্টি, হার্ট পোড়া, তাপ অসহিষ্ণুতা এবং মাঝে মাঝে টাকাইকার্ডিয়া বা দ্রুত হৃদস্পন্দন ইত্যাদি। তবে ঘমের লক্ষণগুলো পুনরাবৃত্তি হওয়ার চেয়ে এই পার্শপতিক্রিয়াগুলো দৈনিক ডোজ কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

ফলে, সাধারণ এই প্রতিক্রিয়াগুলো থাকা সত্ত্বেও অ্যান্টিকোলিনার্জিক গ্রহণ করে কিছু রোগী উল্লেখযোগ্য ভাবে ঘামের এই লক্ষণগুলো থেকে উপশম পায়।

সেকেন্ডারি জেনারালাইজ হাইপারহাইড্রোসিস (Secondary Generalized Hyperhidrosis) যা অন্য চিকিৎসার জন্য বা সেবনকৃত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলস্বরূপ হয়, সেই সমস্ত রোগীদের অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যান্টিকোলিনার্জিক ব্যবহার করা উচিত নয়। ঠিক একইভাবে, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD), বিরক্তিকর অন্ত্র, গ্লুকোমা, বা হার্টের সমস্যাযুক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিকোলিনার্জিক গ্রহণ করা উচিত নয়। আসলে, হাইপারহাইড্রোসিসের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিকোলিনার্জিক ব্যবহার করা একটি অফ লেবেল ইঙ্গিত।

বিটা ব্লকার এবং অ্যানজিওলাইটিক্স (Beta Blockers and Anxiolytics):

অ্যান্টিকোলিনার্জিক ছাড়াও অন্যান্য মুখে খাবার ওষুধ হাইপারহাইড্রোসিসের চিকিৎসার জন্য বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত বিটা ব্লকার যা বি-অ্যাড্রেনার্জিক রিসেপ্টরগুলিতে কাজ করে। এটি হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কমায় এবং অ্যাক্সিওলাইটিক্স (বেনজোডিয়াজেপাম), যা উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।

দুর্ভাগ্যবশত, প্রাইমারি হাইপার হাইড্রোসিস সেন্ট্রাল নার্ভ সংক্রান্ত ডিসর্ডারের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং এই ওষুধগুলো সাধারণত হাত-পায়ের প্রাইমারি হাইপারহাইড্রোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে ও জীবনযাত্রার মান বাড়াতে কার্যকর নয়।

লক্ষণীয় যে, হাইপারহাইড্রোসিসের মত অত্যধিক সক্রিয় সহানুভূতিশীল ক্রিয়াকলাপের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো ব্লাশিং ডিসর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের (কখনো কখনো জনসাধারণের সাথে কথা বলার আগে বা অন্য পরিস্থিতি  যা ব্লাশিং প্রবণ হয়) চিকিৎসায় একসাথে অ্যান্টিকোলিনার্জিক এবং বিটা ব্লকার ব্যবহার করলে আক্রান্ত ব্যক্তি উপশম পায়।

এই ওষুধগুলো সেন্ট্রাল নার্ভ সিস্টেম বা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে এবং যারা এপিসোডিক বা ঘটনা-চালিত হাইপারহাইড্রোসিস (যেমন চাকরির ইন্টারভিউ, পরীক্ষার হলে বা উপস্থাপনার সময় অতিরিক্ত ঘাম হওয়া)  আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সর্বোত্তম। 

তবে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ- বেনজোডায়াজেপাইনগুলি আসক্তি নির্ভরশীলতা তৈরি করতে পারে এবং অনেক রোগী এই উভয় ওষুধের থেরাপির কারণে সৃষ্ট প্রশমক প্রভাব সহ্য করতে পারে না।

 

প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ-

iontophoresis

আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis): হাত-পায়ের অতিরিক্ত ঘাম সমস্যার কার্যকর সমাধান

১৯৪০ সাল থেকে হাত এবং পায়ের অতিরিক্ত ঘামের চিকিৎসায় আয়ন্টোফোরেসিস পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 

 

আরো বিস্তারিত….
 
 

হোম আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) থেরাপি সেবা

বাসায় বসে আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) থেরাপি সেবা গ্রহণ করে, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে হাত ও পায়ের অতিরিক্ত ঘামকে স্বাভাবিক করুন।

 
আরো বিস্তারিত….

Sweat-Guard for excessive sweating

সোয়েট-গার্ড: আধুনিক আয়ন্টোফোরেসিস (Iontophoresis) ডিভাইস

বাসায় বসে আয়ন্টোফোরেসিস ডিভাইস Sweat- Guard ব্যবহার করে ১৫ দিনের মধ্যে হাত ও পায়ের অতিরিক্ত ঘামের মত বিব্রতকর এবং অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা প্রশমিত করুন।

 
আরো বিস্তারিত….
Scroll to Top